Wednesday, May 15, 2013

গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য


গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যাবেশির ভাগ মহিলাই সাধারণত এ সময় কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেনএমনিতেই গর্ভাবস্থায় নানা ধরনের সমস্যা থাকেতারপর যদি পেট পরিষ্কার না হয় তাহলে ভাবী মায়ের শরীর ও মন ভালো থাকে নাপেটে সব সময় একটা অস্বস্তিভাব বিরাজ করেকখনো আবার তলপেটে ও
কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়কারো ক্ষেত্রে অর্শের সমস্যাও দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য মলাশয়ের রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়গর্ভাবস্থার জন্য শিথিল হওয়া মলদ্বারের শিরা শক্ত মলের চাপে ছিঁড়ে যায় এবং ক্ষতের সৃষ্টি করে, যা থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারেগর্ভাবস্থার পুরো সময়ই এ সমস্যা থাকতে পারেযাদের গর্ভাবস্থার আগ থেকেই অর্শ থাকে তাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় এ সমস্যা আরো বেড়ে যায়এভাবে রক্তক্ষরণ হলে রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারেতাই চিকিসককে এ বিষয়টির প্রতি তদারকি করা জরুরি বিষয়
গর্ভাবস্থায় গর্ভজাত শিশুসহ জরায়ুর বৃহদন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য এ সময় বেড়ে যায়আবার অনুপযুক্ত খাবার গ্রহণ কিংবা প্রয়োজন মতো পানি পান না করার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারেএ সময় প্রয়োজনীয় শারীরিক পরিশ্রমের অভাবেও সমস্যাটি বেড়ে যায়হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবে এ সময় অন্ত্র শিথিল হয়ে যায়গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে ডিম্বাশয়ের মধ্যে বিকশিত করপাস লিউটিয়াম থেকে বেশি মাত্রায় প্রোজেস্টেরন হরমোন ক্ষরিত হয়পরবর্তীকালে গর্ভশয্যায় বিকশিত গর্ভের ফুল থেকেও এই হরমোন নিঃসরিত হয়
গর্ভাবস্থায় সঠিক খাবার গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করা যায় সময় প্রচুর পানি পান করতে হবেদিনে অন্তত সাত-আট গ্লাস পানি পান করা উচিতটাটকা সবুজ শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবেটাটকা ফল যেমনÑ আম, পেয়ারা, আমড়া, পেঁপে, কলা, অর্থা ঋতু অনুযায়ী প্রাপ্য ফল খেতে হবেসহনীয় শারীরিক পরিশ্রম করতে হবেগর্ভাবস্থায় কিছু বিশেষ ব্যায়াম রয়েছে, যা শিখে নিয়ে প্র্যাকটিস করতে হবেচিকিসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবেএ সময় হোমিওপ্যাথি ওষুধ বেশ ভালো কাজ করে
m~Î: bqv w`Mš—

No comments:

Post a Comment